AnalysisBD LawsHome

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০: গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহের বিশ্লেষণ

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ হলো নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন কল্পে প্রণীত আইন। যা নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ এবং অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে শাস্তির আওতায় আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

১. নারী ও শিশুদের সুরক্ষা প্রদান।
২. শিশু ও নারী হত্যা, ধর্ষণ, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, অপহরণ, পাচার, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ।
৩. নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্য সম্পাদনকারী অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।
৪.দ্রুত ও কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা।

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহের বিশ্লেষণ

ধারা দহনকারী,ক্ষয়কারী পদার্থ দ্বারা সংঘটিত অপরাধের শাস্তি

যদি কোনো ব্যক্তি দহনকারী (এসিড), ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত কোনো পদার্থ দ্বারা কোনো শিশু বা নারীর-

১. মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যু*দণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অনূর্ধ্ব ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

২. দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি নষ্ট বা মুখমণ্ডল, স্তন বা যৌনাঙ্গ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যু*দণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে  এবং  অনূর্ধ্ব ১ লক্ষ টাকার অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

৩. শরীরের অন্য কোন অঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার বা শরীরের কোন স্থানে আঘাত পাওয়ার ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক ১৪ বৎসর কিন্তু অন্যূন ৭ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে এবং অনূর্ধ্ব ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

৪. দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত পদার্থ কোন শিশু বা নারীর উপর নিক্ষেপ করেন বা করার চেষ্টা করেন,  শিশু বা নারীর শারীরিক, মানসিক বা অন্য কোনভাবে কোন ক্ষতি না হলেও, অনধিক ৭ বৎসর কিন্তু অন্যূন ৩ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে  এবং  অনূর্ধ্ব ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

 

ধারা: নারী বা শিশুকে অপহরণ

কোন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন নারী বা শিশুকে অপহরণ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা অন্যূন ১৪ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে  এবং  অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

মুক্তিপণ আদায়ের শাস্তি- যদি কোন ব্যক্তি মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন নারী বা শিশুকে আটক করেন, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যু*দণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে  এবং  অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

 

ধারা: ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি

১. যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তা হলে তিনি মৃত্যু*দণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে এবং  অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

২. যদি কোন ব্যক্তি  ধর্ষণ করে বা ধর্ষণ পরবর্তী তার অন্যান্য কাজের ফলে নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যু*দণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে  এবং  অন্যূন ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

৩. যদি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন (Gang Rape) এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যু*দণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে  এবং  অন্যূন ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

৪. যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ১০ বৎসর কিন্তু অন্যূন ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে  এবং  অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

৫. যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী ধর্ষিত হয়, তা হলে নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, তিনি বা তারা প্রত্যেকে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক ১০ বৎসর কিন্তু অন্যূন ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে  এবং  অন্যূন ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

 

ধার১০:যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন (ইভটিজিং) এর শাস্তি

যদি কেউ নারী বা শিশুকে যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন করে, তবে তার শাস্তি সর্বনিম্ন ৩ বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। যদি ভিকটিম আত্মহত্যা করে, তাহলে অপরাধীর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।

 

ধারা১১: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো, ইত্যাদির শাস্তি

কোনো নারীর স্বামী বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীর-

ক. মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যু*দণ্ডে বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

খ. মারাত্মক জখম (Grievous Hurt) করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অনধিক ১২ বৎসর কিন্তু অন্যূন ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

গ. সাধারণ জখম (Simple Hurt) করার জন্য অনধিক ৩ বৎসর কিন্তু অন্যূন ১ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

 

ধারা১২ ভিক্ষাবৃত্তি, ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুর অঙ্গহানি করার শাস্তি

যদি কোন ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির উদ্দেশ্যে কোন শিশুর হাত, পা, চক্ষু বা অন্য কোন অঙ্গ বিনষ্ট করেন বা অন্য কোনভাবে বিকলাঙ্গ বা বিকৃত করেন, তা হলে তার শাস্তি  মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড  এবং  অর্থদণ্ড।

 

ধারা১৩: ধর্ষণের কারণে কোন সন্তান জন্মলাভ করিলে

ক. উক্ত সন্তানকে তার মাতা কিংবা তাহার মাতৃকুলীয় আত্মীয় স্বজনের তত্ত্বাবধানে রাখা যাবে।

খ. উক্ত সন্তান তার পিতা বা মাতা, কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হবার অধিকারী হবে।

গ. উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহণ করবে;

ঘ.  ভরণপোষণের ব্যয় তার বয়স ২১ বৎসর পূর্তি না হওয়া পর্যন্ত দেয়া হবে, তবে ২১ বৎসরের অধিক বয়স্ক কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে তাহার বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত এবং পঙ্গু সন্তানের ক্ষেত্রে তিনি স্বীয় ভরণপোষণের যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত প্রদেয় হবে।

ঙ. এই ধারার অধীন কোন সন্তানকে ভরণপোষণের জন্য প্রদেয় অর্থ সরকার ধর্ষকের নিকট হইতে আদায় করতে পারিবে এবং ধর্ষকের বিদ্যমান সম্পদ হইতে উক্ত অর্থ আদায় করা সম্ভব না হইলে, ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন সেই সম্পদ হইতে আদায়যোগ্য হবে।

 

ধারা-১৪: সংবাদ মাধ্যমে ভিকটিমের নাম পরিচয় ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা

১. এই আইনে বর্ণিত নারী ও শিশুর উপর সংঘটিত ধর্ষণ বা অন্য অপরাধের শিকার ভিকটিম নারী ও শিশুর নাম ঠিকানা ছবি পরিচয় ইত্যাদি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা নিষিদ্ধ।

২. এই বিধান লংঘন করা হইলে উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক ২ বছর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

ধারা১৭: মিথ্যা মামলার প্রতিকার

যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন কোনো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন তাহলে মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি অনধিক ৭ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং  অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

 

বিচার:

একজন বিচারক নিয়ে প্রত্যেক জেলায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে এবং সরকার জেলা ও দায়রা জজগণের মধ্য হইতে উক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযু্‌ক্ত করিবে।

ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, রায় বা আরোপিত দণ্ড দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উক্ত আদেশ, রায় বা দণ্ডাদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৬০ দিনের মধ্যে, হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন।

 

সংশোধনী ২০২০ 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ২০২০ সালের সংশোধনীসমূহ:

২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ পাস করে। এই সংশোধনীর মূল পরিবর্তনগুলো নিম্নরূপ:

১. ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু*দণ্ড

– আইনের ধারা: ৯(১) ও ৯(৩)

– পরিবর্তন:

-পূর্বে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

– ২০২০ সংশোধনীতে ধর্ষণ, গ্যাং রেপ বা শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যু*দণ্ড বা যাবজ্জীবন করা হয়েছে।

– গুরুত্বপূর্ণ শর্ত: ধর্ষণের পর হত্যা বা স্থায়ী পঙ্গুত্ব ঘটালে মৃত্যু*দণ্ড বাধ্যতামূলক।

 

২. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যৌন হয়রানি অন্তর্ভুক্ত

– আইনের ধারা: ১০(২)

– পরিবর্তন:

– সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল বা মোবাইল মাধ্যমে যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

– শাস্তি: অন্তত ৫ বছর, সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড + জরিমানা।

 

৩. তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর

– আইনের ধারা: ২0

– পরিবর্তন:

– মামলার তদন্ত ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

– ট্রাইব্যুনালকে ১৮০ দিনের  মধ্যে রায় দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

৪. মামলা দায়েরের সময় বাড়ানো

– *পরিবর্তন:ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের মামলা ঘটনার ২ বছরের মধ্যে দায়ের করা যাবে (পূর্বে ৬ মাস)।

 

৫. সাক্ষীর সুরক্ষা ও গোপনীয়তা

– আইনের ধারা: ২২(ক)

– পরিবর্তন:

– নির্যাতিতার পরিচয় গোপন রাখার বিধান যুক্ত হয়েছে।

– আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ।

 

৬. শিশু ধর্ষণের সংজ্ঞা ও শাস্তি কঠোর করা

– আইনের ধারা:৯(৩)

– পরিবর্তন:

– ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর সাথে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ  হিসেবে গণ্য হবে (স্বেচ্ছায় হলেও)।

– শিশু ধর্ষণের শাস্তি: মৃত্যু*দণ্ড বা যাবজ্জীবন।

 

৭. জামিন অযোগ্য ও অ-সমঝোতাযোগ্য অপরাধ

– আইনের ধারা: ২১

– পরিবর্তন:

– ধর্ষণ, এসিড অপরাধ, শিশু নির্যাতনের মামলায় জামিন দেওয়া যাবে না।

– ভুক্তভোগীর সম্মতি ছাড়া মামলা ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না।

 

এই আইনের অধীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা নজীর

ক. বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বনাম রাষ্ট্র (২০১৭)

– ঘটনা: ঢাকায় একটি শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা।

– রায়: আসামিকে মৃত্যু*দণ্ড দেওয়া হয়।

– নজির: শিশু ধর্ষণে মৃত্যু*দণ্ডের প্রথম নজিরগুলোর একটি।

 

খ. গ্যাং রেপের মামলা (নোয়াখালী, ২০২০)

– ঘটনা: এক নারীকে সম্মিলিতভাবে ধর্ষণ ও ভিডিও ভাইরাল করা।

– রায়: ৫ আসামির মধ্যে ৪ জনকে মৃত্যু*দণ্ড (দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, ২০২১)।

 

গ. ইভটিজিং ও ধর্ষণে মৃত্যু*দণ্ড (সিলেট, ২০১৯)

– ঘটনা: স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ধর্ষণ ও হত্যা।

– রায়: আসামিকে মৃত্যু*দণ্ড (২০২০ সালে ফাঁসি কার্যকর)।

 

ঘ. (যৌতুকের জন্য হত্যা ) স্টেট বনাম শফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য (২০১৬)

– ঘটনা: শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে পুড়িয়ে হত্যা করে।

– আদালতের রায়:

– ধারা ১১(২) অনুযায়ী*যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (প্রমাণের অভাবে মৃত্যু*দণ্ড নয়)।

– নজির: যৌতুকের জন্য হত্যায় কঠোর শাস্তির প্রয়োগ।

 

ঙ. (এসিড সন্ত্রাস) স্টেট বনাম সোহাগ আলী (২০১৮)

– ঘটনা: সোহাগ আলী এক নারীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে স্থায়ী বিকলাঙ্গ করে।

– আদালতের রায়:

– ধারা ৫ (এসিড অপরাধ) অনুযায়ী মৃত্যু*দণ্ড (বিচারে ১ বছরের মধ্যে রায়)।

– নজির: এসিড অপরাধে দ্রুত বিচারের উদাহরণ।

 

নারী ও শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি কলসেন্টারে যেকোনো সময় সাহায্যের জন্য কল করা যায়।
– জাতীয় জরুরি সেবা: ৯৯৯ 
– মহিলা সহায়তা কেন্দ্র: ১০৯২১ 
– নালসো হেল্পলাইন: ১৬৪৩০

*সূত্র: আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট

 

*লেখক: খন্দকার আনোয়ারা সুলতানা তুলি: সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, জুরিস্টিকো।

You cannot copy content of this page