রিট- মৌলিক অধিকারের রক্ষাকবচ
রিট (Writ)
রীট ( Writ) শব্দের অর্থ হলো আদালত বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত আদেশ। সর্বপ্রথম রীট (Writ) শব্দটির উৎপত্তি হয় বৃটেনে। বৃটেনের রাজা বা রানী তাদের কর্মচারী বা অফিসারদেরকে নিজ নিজ কার্যাবলী পালনে বাধ্য করার জন্য বা কোন অবৈধ কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্য রীট জারী করত। পরবর্তীতে রাজা বা রানীর এই বিশেষাধিকার নাগরিকদের অধিকারে চলে আসে। নাগরিকগণ সরকারী কর্মকর্তাদের আচরণে ও কাজে সংক্ষুব্ধ হয়ে রাজার কাছে আসত এবং রাজা বিশেষাধিকারবলে তার অফিসারদের উপর রীট জারি করত। এক কথায় রীট হল এমন এক আদেশ যার মাধ্যমে আদালত কোন ব্যক্তিকে কোন কাজ করতে বা করা হত বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করে।
রিট পিটিশন
বাংলাদেশে হাইকোর্ট বিভাগের এই এখতিয়ারকে রিট জারীর এখতিয়ার বলে। অর্থাৎ রিট শুধু মাত্র হাইকোর্ট বিভাগ জারী করতে পারে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ থেকে ৪৩ এ উল্লেখিত মৌলিক অধিকার লংঘিত হলে সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ প্রদত্ত অধিকারবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করা যায় এবং হাইকোর্ট বিভাগ ১০২ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য কতিপয় আদেশ নির্দেশ জারী করতে পারে, যাকে রিট বলে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ থেকে ৪৩ এ আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, চলাফেরার অধিকার, সমাবেশের অধিকার, সংগঠনের অধিকার, চিস্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা, পেশা বা বৃত্তির অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকার, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার, গ্রেফতার বা আটক সর্ম্পকে রক্ষাকবচ ইত্যাদি অধিকারগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রাষ্ট্র এ অধিকারগুলো লংঘন করে, কোনো ব্যাক্তি করে না। যদিও ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগ কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মৌলিক অধিকার বলবৎ করণের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত নির্দেশনা বা আদেশ দিতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে সুপ্রীমকোর্টের আন্তরিক ও ইতিবাক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে “সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি-এর অর্থে ব্যাপকতা এসেছে অর্থাৎ রিট মামলা দায়েরের যোগ্যতার পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। অনুচ্ছেদ ১০২ এ দেখা যায়, কোনো ব্যক্তি কেবল নিজে সংক্ষুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলেই রিট করতে পারে (২)(ক)(অ)-(আ) এবং যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে হাইকোর্টের নিকট আবেদন করতে পারবেন অনুচ্ছেদ (২)(খ)(অ)-(আ) অনুযায়ী । যেহেতু রাষ্ট্রই মৌলিক অধিকার লংঘন করে তাই শুধুমাত্র রাষ্ট্র কিংবা রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থায় কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে রিট করা যায়। হাইকোর্ট এই রিট বিষয়ে অবারিত ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে অর্থাৎ বিষয় বিবেচনা করে যেকোনো আদেশ দিতে পারে কোনো কিছুই আদালতকে বারিত করে না। এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হলো বেসরকারি কোনো সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারির বিরুদ্ধে রিট করা যায় না অর্থাৎ প্রাইভেট সংস্থা যদি মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে তাহলে তা হবে অপরাধ, তখন রিট মামলা করা যায় না। মামলা করতে হবে দেওয়ানী আদালতে।
রীটের প্রকারভেদ
বাংলাদেশ সংবিধানে পাঁচ ধরনের রীটের কথা বলা আছে। যথা:
(১) Writ of Habeas Corpus (হেবিয়াস কর্পাস)
(২) Writ of Mandamus (ম্যান্ডামাস)
(৩) Writ of Prohibition (প্রহিবিসন)
(৪) Writ of Certiorari ( ছারসিওরারি)
(৫) Writ of Quo Warranto (কুয়া ওয়ারেন্টো
১)বন্দী প্রদর্শন রিট: কোনো ব্যক্তিকে সরকার বা অন্য কেউ আটক করলে কি কারণে তাকে আটক করা হয়েছে তা জানার জন্য বন্দীকে আদালতে হাজির করার যে নির্দেশ দেওয়া হয় তাই বন্দী প্রদর্শন রিট।
২) পরমাদেশ বা হুকুমজারি রিট: কোনো অধস্তন আদালত, ট্রাইব্যুনাল, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি তার আইনগত দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করে কিংবা ব্যর্থ হয় তাহলে উচ্চতর আদালত যে আদেশের মাধ্যমে উক্ত আইনগত দায়িত্ব পালন করতে উক্ত আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে বাধ্য করে তাকে হুকুমজারী রিট বা পরমাদেশ বলে।
৩) নিষেধাজ্ঞামূলক রিট: কোনো অধস্তন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কোনো কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা ব্যক্তি তার এখতিয়ার বর্হিভূত কাজ করতে উদ্দ্যত হয়েছে কিংবা ন্যায় নীতি ভঙ্গ করতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় উচ্চতর আদালত যে আদেশের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে ঐ কাজ করা থেকে বিরত রাখেন তাকে নিষেধাজ্ঞামূলক রিট বলে। নিষেধাজ্ঞামূলক রিটকে বিচার বিভাগীয় রিটও বলা হয়।
৪) উৎপ্রেষণ রিট: দুটি উদ্দেশ্যে উচ্চতর আদালত উৎপ্রেষণ রিট জারী করতে পারে- ক) অধ:স্তন কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক কৃত ক্ষমতা বহির্ভূত কাজকে বাতিল বা নাকচ করে দেয়া। খ) অধ:স্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলা শুনানীর জন্য উচ্চতর আদালত নিজেই গ্রহণ করে এ রিট জারী করতে পারে।
৫)কারণ দর্শাও রিট: কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো সরকারি পদ দাবী করে, যে পদের যোগ্যতা তার নাই অথবা অবৈধভাবে যদি কোনো সরকারি পদ দখল করে বসে থাকে, তাহলে উচ্চতর আদালত যে আদেশের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে তার পদ দখলের বা দাবীর কারণ দর্শাও নির্দেশ দিয়ে থাকে তাকে কারণ দর্শাও রীট বলে।
অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে রিট এবং সাধারণ মামলা দু’টিই করা চলে। রিটে খরচ কিছুটা বেশি হলেও সাধারণত দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
রিট মামলা সাধারণত উচ্চ আদালতে দায়ের করা হয়, যেমন হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট, এবং এর উদ্দেশ্য হলো সংশ্লিষ্ট আদেশ বা কর্মকাণ্ডের বৈধতা এবং সঠিকতা নির্ধারণ করা।
নোট: তিন ধরনের রীট একমাত্র সংক্ষুব্ধ (aggrieved) ব্যক্তি করতে পারে। অন্য কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পক্ষ হয়ে এই তিন ধরণের রীট করতে পারে না। রীটের নামগুলো হল হুকুমজারী রীট, নিষেধাজ্ঞামূলক রীট এবং উৎপ্রেষণ রীট। এই তিনটি রীট একমাত্র সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিই করতে পারে। অপরদিকে বন্দী প্রদর্শন রীট এবং কারণ দর্শাও রীট যেকোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে হতে পারে। এই দুইটি রীট করতে কোন ব্যক্তিকে সংক্ষুব্ধ হবার প্রয়োজন নেই।
হাইকোর্ট বিভাগের স্ব-উদ্যোগে [suo motu] রীট জারির এখতিয়ারকোন পত্র বা তথ্যে বা সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের উপর ভিত্তি করে হাইকোর্ট বিভাগের স্ব-উদ্যোগে [suo motu] রীট জারি করার এখতিয়ার সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদে বলা নেই। তবে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ The Supreme Court of Bangladesh (High Court Division) Rules,1973 এর ১০ বিধি অনুযায়ী কোন পত্র বা তথ্যে বা সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের উপর ভিত্তি করে স্ব-উদ্যোগে [suo motu] রীট জারি করতে পারে। এটাকে হাইকোর্ট বিভাগের Epistolary Jurisdiction বলা হয়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই জনগণের মারাত্মক ক্ষতি হতে যাচ্ছে বলে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হতে হবে। Tayeeb vs Bangladesh (২০১৫) মামলায় আপীল বিভাগ মতামত দেন, কারো মৌলিক অধিকার লংঘন হলে হাইকোর্ট বিভাগ স্ব-উদ্যোগে [Suo motu] রীট জারী করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে great public importance থাকতে হবে। সংবাদপত্রের রিপোর্ট, কোন তথ্যকে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক এক্ষেত্রে রীট এপ্লিকেশন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
রীট সম্পর্কিত বিখ্যাত মামলা
*মহিউদ্দিন ফারুক বনাম বাংলাদেশ (১৯৯৬)এই মামলা ফ্যাপ-২০ (পরিবেশ বিষয়ক) মামলা নামেও পরিচিত। এই মামলার রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনস্বার্থমূলক মামলা (Public Interest Litigation) করার আনুষ্ঠানিক দ্বার খুলে যায়। আপীল বিভাগ এই মামলায় বলেন- “Aggrieved Person” কথাটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে অর্থাৎ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বুঝায় না বরং এটা জনসাধারণ পর্যন্ত বিস্তৃত। তার মানে “Aggrieved Person” বলতে জোটবদ্ধ বা সমষ্টিগত ব্যক্তিকেও বুঝায়।
*মোখলেছুর রহমান বনাম বাংলাদেশ [২৬ DLR ১৯৭৪, (AD) ৪৪] রীটের জন্য আবেদন প্রসঙ্গে “সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি”কথাটি এই মামলায় উদারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আবেদনকারী ব্যক্তি কাজী মুখলেছুর রহমান বাংলাদেশের বেড়ুবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন না। হাইকোর্ট বিভাগ আবেদনটিকে অসময়োচিত (Pre-mature) বলে খারিজ করে দেন। আপীল বিভাগ আবেদনকারীর আবেদন করার যোগ্যতাকে [লোকাস স্ট্যান্ডি (Locus Standi) বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি] বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বৈধতা দেয়।
চাকুরী থেকে অপসারিত একজন সরকারী কর্মচারী তার অপসারণের বিরুদ্ধে রীট দায়ের করতে পারে কিনা? নিয়ম অনুযায়ী সরকারী চাকুরী সংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিষ্পত্তি করে থাকেন। চাকুরী থেকে অপসারিত একজন সরকারী কর্মচারী ইচ্ছা করলে তার অপসারণের বিরুদ্ধে উৎপ্রেষণ রীট (Writ of Certiorari) দায়ের করতে পারেন। এই রীটের মূল কথা হলো, কোন অধস্তন আদালত, ট্রাইব্যুনাল, কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা ব্যক্তি তার আইনগত ক্ষমতাকে লঙ্ঘন করে কিংবা স্বাভাবিক ন্যায়-নীতি ভঙ্গ করে তবে হাইকোর্ট বিভাগে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আবেদন করতে পারেন। এই ধরনের আবেদনের উপর ভিত্তি করে হাইকোর্ট বিভাগ অপসারণ আদেশ বৈধ কিনা তা যাচাই করে দেখতে পারেন। সরকারী কর্মকর্তাকে যদি অন্যায়ভাবে অপসারণ করা হয়ে থাকে তাহলে উক্ত অপসারণ আদেশকে হাইকোর্ট বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করতে পারেন।
বাংলাদেশে কে রিট পিটিশন দায়ের করতে পারে-
লোকাস স্ট্যান্ডি বা মামলা করার অধিকার আছে এমন ব্যক্তি দ্বারা একটি রিট পিটিশন দায়ের করা যেতে পারে৷ লোকাস স্ট্যান্ডিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়, স্বতন্ত্র অবস্থান এবং প্রতিনিধি অবস্থান। সরকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বা কর্মের দ্বারা সংক্ষুব্ধ একজন ব্যক্তি বা ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।
সাধারণত যেকোন বিষয়ে হোক সেটা দেওয়ানী অথবা ফৌজদারী মামলা হাইকোর্টের অধিন্যস্ত দেওয়ানী/ফৌজদারী আদালতে করা হয় শুধু মাত্র কিছু মামলা আছে যেগুলোতে সরাসরি হাইকোর্টে যেতে হয়। যেমন, কোম্পানী সংক্রান্ত মামলা, খ্রিস্টান বিবাহ সংক্রান্ত মামলা, কপি রাইট মামলা, এডমিরালটি বা সমুদ্রগামী জাহাজ সংক্রান্ত মামলা। রিট সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে যেকোন নাগরিক রিট আবেদন করতে পারেন।
রিট ও মামলার মধ্যে পার্থক্য
রিটের বিষয়টি মামলার মত হলেও মৌলিক একটি পার্থক্য আছে। আমরা মামলা করি প্রচলিত আইনের অধীনে হাইকোর্টের অধিন্যস্ত কোর্টে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোন আইনের অধীনে উক্ত সমস্যার কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর অন্যায় করা হচ্ছে। তখন ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ জনস্বার্থে এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারে যাকে রীট বলা হয়। বিষয়টি পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। আবার কেউ যদি মনে করেন সরকারের প্রণীত কোন আইন প্রচলিত অন্য আইনের পরিপন্থী বা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, সে ক্ষেত্রেও আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা যায়।যিনি মামলা করার যোগ্যতা রাখেন তিনি রীট ও করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে বিষয়ে রীট করতে চান সে বিষয়ের প্রতিকার সরাসরি অন্য আইনে উল্লেখ নেই।
*লেখক: খন্দকার তুলি: এইচআর এক্সিকিউটিভ, জুরিস্টিকো।
আরও পড়ুন- ন্যায়পালের দায়-দায়িত্ব ও কার্যাবলি