BlogFeature

আয়কর আইনজীবীর যোগ্যতা, কার্যাবলি ও সুযোগ সুবিধা

আয়কর কি?

আয়কর হচ্ছে ব্যক্তির আয় বা লভ্যাংশের উপর সরকার কর্তৃক আরোপিত কর। আয়করকে সরকারি রাজস্ব বা আয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস বলা হয়।

 

আয়কর আইনজীবী

যে সকল আইনজীবী বা পেশাজীবী আয়করের নথিপত্র তৈরি, রিটার্ন জমা দেওয়া, আইনি পরামর্শ ইত্যাদি সেবা প্রদান করেন তাদেরকে আয়কর আইনজীবী বলা হয়। আয়কর আইনজীবীদের ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাক্টিশনার (আইটিপি) বা আয়কর পেশাজীবী বা কর আইনজীবী বা আয়কর উপদেষ্টা বলা হয়।

 

আয়কর আইনজীবী সনদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা

আবেদনকারীর দেশে/বিদেশে যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিচের যে কোনো একটি ডিগ্রি থাকতে হবে-

(ক) আইন বিষয়ে ডিগ্রি

(খ) কর বিষয়ে ডিগ্রি

(গ) হিসাববিজ্ঞান বিষয়সহ বাণিজ্যে ডিগ্রি

(ঘ) উচ্চতর অডিটিংসহ ব্যাংকিং বিষয়ে ডিগ্রি

(ঙ) ডিপ্লোমা ইন ট্যাক্সেশনসহ যে কোনো বিষয়ে ডিগ্রি

(চ) উচ্চতর অডিটিংসহ ব্যাংকিং ডিপ্লোমা এবং তৎসহ যে কোনো বিষয়ে ডিগ্রি।

 

কিভাবে আয়কর আইনজীবী হওয়া যায়

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদভুক্ত আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আয়কর উপদেষ্টা হওয়া যায়। আইনজীবী না হয়েও আয়কর উপদেষ্টা হওয়া যায়। সাধারণত ২ ভাবে আয়কর আইনজীবী হওয়া যায়:

১. বার কাউন্সিলের সনদ নিয়ে।

২. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর আইটিপি সনদ নিয়ে।

বার কাউন্সিল এবং এনবিআর এর সনদপ্রাপ্তদের একই সঙ্গে ট্যাক্স বারের সদস্য হতে হবে।

 

বার কাউন্সিলের সনদের ক্ষেত্রে করণীয়

শুধু মাত্র স্বীকৃত আইনে ডিগ্রি অর্জনকারীরা বার কাউন্সিলের সনদের জন্য  আবেদন করতে পারবে।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী  হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হলে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বীকৃত আইনের ডিগ্রি নিয়ে কোনো একজন সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে ৬ মাসের শিক্ষানবিস সময় অতিক্রম করতে হবে। এরপর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে নির্ধারিত বিষয়ে অ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যথাক্রমে এসসিকিউ, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এভাবে কৃতকার্য হলে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া যায় বা বার কাউন্সিলের সনদ পাওয়া যায়। এই সনদ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়া অধস্তন সব আদালত, ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করা যায়। এই সনদ দিয়ে ট্যাক্স বারের সদস্য হয়ে ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার হিসেবেও কাজ করা যায়।

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)  এর সনদের ক্ষেত্রে করণীয়

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দিয়ে আইনজীবী না হয়েও শুধু আয়কর পেশাজীবী বা আইটিপি হিসেবে কাজ করা যায়। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিশেষ পরীক্ষায়  অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে হয়। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৭৪ ধারা এবং আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪ এর বিধি ৩৭ অনুযায়ী আয়কর পেশাজীবী (আইটিপি) হিসেবে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমাদানের মাধ্যমে আবেদন বা দরখাস্ত করতে হবে।

এনবিআর এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়সমূহের যে কোন একটি বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে এবং তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষার পূর্ণমান থাকে ১০০ এবং পাস নাম্বার ৪০। মৌখিক পরীক্ষায় ৫০, পাস নাম্বার ২০। এনবিআর এর সনদপ্রাপ্ত হলে ট্যাক্স বারের সদস্য হতে হবে।

এনবিআর এর লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস

আয়কর পরীক্ষায় যেসব আইন ও বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে, সেগুলো হলো:

(ক) আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪,

(খ) আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪,

(গ) অর্থ আইন/ অধ্যাদেশ,

(ঘ) দানকর আইন, ১৯৯০,

(ঙ) আয়কর আইন, অধ্যাদেশ ও বিধির বাস্তব প্রয়োগ,

(চ) হিসাব বিজ্ঞান,

(ছ) বাংলা ও ইংরেজি।

 

ট্যাক্স বা ট্যাকসেস্ বারের সদস্য হওয়ার জন্য করণীয়

ঢাকা ট্যাকসেস্ বার এসোসিয়েশন এর নতুন সদস্য হওয়ার নিয়মাবলী সংক্রান্ত নোটিশে উল্লখিত কার্যাবলির সম্পাদন এর মাধ্যমে নতুন সদস্য হওয়া যায়।

ঢাকা ট্যাকসেস্ বার এসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে ১,৯০০/-(এক হাজার নয় শত) টাকা ঢাকা ট্যাকসেস্ বার এসোসিয়েশনের রশিদের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ, কাকরাইল শাখায় / এ,বি ব্যাংক লিঃ, কাকরাইল শাখায় / সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিঃ, কাকরাইল শাখায় জমা দিয়ে অত্র বারের অফিস হতে নতুন সদস্য হওয়ার আবেদন ফরম নিতে হবে। আবেদন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করে নিম্নলিখিত কাগজপত্র সহকারে বারের অফিসে জমা দিতে হবে:-

 

১) আবেদনকারীর ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি (সত্যায়িত পূর্বক) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নমিনির ১ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি (নমিনির ছবি আবেদনকারী কর্তৃক সত্যায়িত)।

২) ১ কপি এস,এস,সি সার্টিফিকেট, এইচ, এস, সি সার্টিফিকেট, স্নাতক সার্টিফিকেট ও স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেট (যদি থাকে) এর সত্যায়িত কপি।

৩) ১ কপি বার কাউন্সিল সার্টিফিকেট/ আই,টি,পি সার্টিফিকেট/ সি,এ সার্টিফিকেট/ কষ্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট সার্টিফিকেট / চার্টার্ড সেক্রেটারি সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি।

৪) ১ কপি জুনিয়রশীপ সার্টিফিকেট এর মূল কপি। (নুন্যতম ১০ বছর বা ততোধিক সময় আয়কর পেশায় নিয়োজিত ঢাকা ট্যাকসেস্ বার এসোসিয়েশনের একজন সদস্যের নিকট থেকে তার প্যাডে লিখিতভাবে ১২ মাসের কাজে অভিজ্ঞতার সনদ।)

৫) আবেদনকারীর ১ কপি জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নমিনির ১ কপি জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি (নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি আবেদনকারী কর্তৃক সত্যায়িত)।

৬) আবেদনকারীর ১ কপি সর্বশেষ রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (পি,এস,আর)-এর কপি। (আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৬৪ মোতাবেক এবং নির্ধারিত  তারিখে উপ কর কমিশনার, কর সার্কেল-২৬৮ (বৈতনিক), কর অঞ্চল-৮, ঢাকা কর্তৃক ইস্যুকৃত পত্র মারফত নির্দেশিত)।

 

উপরে বর্ণিত কাগজপত্র সহকারে যথাযথভাবে আবেদন ফরম পূরণ পূর্বক তা জমা দেওয়ার পর (আবেদন দাখিলের নিদিষ্ট তারিখ পর্যন্ত) সাক্ষাৎকার / ভাইভা নেওয়ার তারিখ ও আবেদনকারীদের তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানো হবে এবং আবেদনকারীদের চিঠি / এস,এম,এস এর মাধ্যমে জানানো হবে। সাক্ষাৎকার / ভাইভা গ্রহণের সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই দাখিলকৃত কাগজপত্রের মূলকপি সাথে আনতে হবে। উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকার / ভাইভা গ্রহণের পর উত্তীর্ণ আবেদনকারীকে অত্র বারের প্রদেয় বার্ষিক সদস্য চাঁদার সাথে বারের সংবিধান মোতাবেক ভর্তি ফি বাবদ =১৫,০০০/-(পনের হাজার) টাকা প্রদান করতে হবে।

যারা ঢাকা ট্যা‌কসেস্ বা‌রের সদস্য হ‌বেন তারা আয়কর আইনজীবী হি‌সে‌বে ওকালতনামা ব্যবহার করার পাশাপা‌শি নিজস্ব সিল ব্যবহার কর‌তে পারে। এছাড়া ঢাকা ট্যা‌কসেস্ বার থে‌কে আইডি কার্ড, সদস্য সনদপত্র, নির্বাচ‌নে অংশগ্রহণ, বেন‌ভো‌লেন্ট ফান্ড সু‌বিধা পা‌বেন।

 

আয়কর আইনজীবীর বয়সসীমা

আয়কর আইনজীবীদের নির্ধারিত কোন বয়সসীমা নেই। সনদপ্রাপ্ত হলেই আয়কর আইনজীবী হিসেবে কাজ করা যায়। এছাড়া লিঙ্গভিত্তিক কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

 

আয়কর আইনজীবীদের ক্যারিয়ার

আয়কর আইনজীবীর ক্যারিয়ার ব্যক্তিগত নাম, যশ,জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভরশীল। সাধারণত অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়কর আইনজীবীর মাসিক বা কেসভিত্তিক সম্মানী বৃদ্ধি পায়। মাসিক সম্মানী বা আয়ের বিষয়টি কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ হয়ে থাকে।

 

 আয়কর আইনজীবীরা কোথায় কাজ করেন

আয়করসংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে সমাধানের জন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একজন আয়কর উপদেষ্টা বা আইটিপির প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নিয়োগের বাইরেও একজন পেশাজীবী হিসাবে আয়কর উপদেষ্টা নিজে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। একজন আয়কর আইনজীবীকে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক আবার কেসভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে সাময়িক বিবেচনায়। নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়করসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সাধারণত একজন আয়কর আইনজীবী বেশ পরিচিত এবং প্রচলিত

১। বিভিন্ন কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে

২। ব্যক্তিগত উদ্যোগ ব্যাবসা পরিচালনা করছেন এমন ব্যক্তি বা উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে

৩। ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে

৪। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে

৫। আয়কর নিয়ে সমস্যায় পড়েছে এমন কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে

 

একজন আয়কর আইনজীবীর কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

করদাতাদের অনেকের আয়ের বিভিন্ন উৎস থাকে। সেক্ষেত্রে আয়ের উৎস ব্যায়ের খাত সমন্বয় করে উপস্থাপন করতে না পারলে ভবিষ্যতে যেকোন সময় করদাতা ঝামেলায় পরতে পারেন। তাই একজন আয়কর আইনজীবীকে কর সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে দক্ষ হতে হয় এবং প্রকৃত বন্ধুর মতো কাজ করতে হয়। যেমন:

১। ক্লায়েন্ট ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দক্ষ ও বিচক্ষণ হতে হবে। এক্ষেত্রে যোগাযোগ সমন্বয়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে।

২। আয়কর সংক্রান্ত পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত পড়াশোনা করা এবং নিয়মিত জ্ঞান সঞ্চালন করা জরুরি।

৩। আয়কর সংক্রান্ত আইনের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকা বাধ্যতামূলক।

৪। আইন ব্যাখ্যার ব্যাপারে পারদর্শিতা থাকা খুবই জরুরি।

৫। ফলাফলভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে নিবিষ্টচিত্ত হওয়া জরুরি।

৬। প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ক্ষেত্রে হিসাবরক্ষণ ও আয়করের ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য অধিগ্রহণের ব্যাপারে পটু হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্বত্বাধিকারী এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তিকে অধিগ্রহণের প্রয়োজনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে হবে।

৭। আইনের মধ্যে জটিল বিষয়গুলোকে সহজে উপস্থাপন করার কৌশল রপ্ত করা; করদাতা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে গভীরভাবে নজর রাখা এবং একইভাবে সরকারও যেন উপযুক্ত কর থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা।

এগুলো ছাড়াও বর্তমান ভার্চুয়াল যুগে একজন আয়কর আইনজীবীকে যে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করা জরুরি তা হলো, আয়কর সংক্রান্ত সকল ফরমের ইলেকট্রনিক কপি সংরক্ষণ করা; ইলেকট্রনিক ফাইলে যাবতীয় ক্যালকুলেশন, নোট তৈরি করা; কম্পিউটারে বাংলা- ইংরেজি টাইপিং দক্ষতা অর্জন; ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন; ই-মেইল ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া; অনলাইনে রিটার্ন প্রস্তুতির দক্ষতা অর্জন; প্রদেয় কর অনলাইনে পরিশোধ ও চালান কপি সংগ্রহের দক্ষতা অর্জন; ই-টিআইএন সেবা গ্রহণের দক্ষতা অর্জন; করদাতাবান্ধব সেবার যাবতীয় তথ্য অনলাইনে সংগ্রহ ও তার গুরুত্ব বোঝায় অভ্যস্ত হওয়া; এবং অনলাইনে করদাতাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানে অভ্যস্ত হওয়া।

 

আয়কর আইনজীবীদের সুবিধার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের করণীয়

১. প্রত্যেক সনদধারী আয়কর আইনজীবীকে  দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য  উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

২. নিয়মিতভাবে পেশায় সম্পৃক্ত থাকার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা।

৩.জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক এখন পর্যন্ত আয়কর আইনজীবীদের আচরণ বিধি প্রণয়ন করা হয়নি। এতে সিনিয়র জুনিয়র এর মাঝে সমন্বয়হীনতা দেখা যাই তাই  কর্তৃপক্ষকে আচরণ বিধি  প্রণয়নে নজর দেওয়া দরকার

৪. নির্ধারিত আয়কর আদায়ের কমিশন প্রদান করা, বা শর্তসাপেক্ষে মাসিক সম্মানি প্রদানের ব্যবস্থা করা। ৫. পেশায় নিয়োজিত আইনজীবীদের তালিকা এনবিআরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।

৬. ট্যাক্স বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ নিশ্চিত করা।

 

*লেখক: মাহফুজা আক্তার সুমি: রিসার্চ এক্সিকিউটিভ, জুরিস্টিকো।

 

আরো পড়ুন- আইনজীবী সনদ পরীক্ষা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে…

You cannot copy content of this page